বাংলায় স্বাধীন সুলতানী শাসন
Independent Sultani Rule in Bengal
দিল্লীর
সুলতানগন ১৩৩৮-১৫৩৮ এ দুইশত বছর বাংলাকে তাদের অধিকারে রাখতে পারেনি। এ সময় বাংলার
সুলতানরা স্বাধীনভাবে বাংলা শাসন কনে।
ফকরুদ্দিন মুবারক শাহী শাসন(১৩৩৮-১৩৪৯)
ফকরুদ্দন
মুবারক শহের পূর্বনাম ফকরা্ ১৩৩৮ সারে তিনি সোনারগায়ের শাসন ক্ষমতা দখল স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীন সুলতান হিসাবে তিনি উপাধি
গ্রহণ করেন ফকরুদ্দিন মুবারক শাহ্ তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম সাবাধীন মুলতান । তবে
তিনি পুরো বাংলা জয় করতে পারেননি।
ইবনে বতুতার বর্ণনা: মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ফকরুদ্দিন মুবারক শাহের
রাজত্বকালে (১৩৪৫-১৩৪৬) বাংলায় আসেন। বাংলাদেশে আসার তার মূল উদ্দেশ্য তিছল সিলেটে
গিয়ে হযরত শাহজালালের সঙ্গে সাক্ষাত করা্ ইবনে বতুতা দক্ষিণ ভারত থেকে সমুদ্র পথে
চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রাম । তিনি সিলেট থেকে নদী পথে সোনারগা আসেন। ইবনে প্রথম
বিদেশী পর্যটক হিসাবে বাঙ্গালা শ্বদ ব্রবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক
দ্রব্যাদির প্রাচুর্য ও সাবল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী ইবনে বতুতাকে
আকৃষ্ট করলেও এদেশের আবহাওয়া
তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলাদেশে র নামকরন করেন দোযখপুর ্য নিয়ামত বা আশীর্বাদপুষ্ট
নরক বা ধনপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহেলা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরুপ বর্ণনা
পাওয়া যায়।
ইলিয়াস শাহী শাসন(১৩৪২-১৪১২ সাল)
সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ(১৩৪২-১৩৫৭)
১৩৫২ সালে ইলিযাস শাহ পুরো বাংরার অধিকার করেন। এজন্য দিল্লীর
ঐতিহিাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ ইলিয়াস শাহকে শাহ-ই-বাঙ্গালাহ বা শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান বলে
উল্লেখ করেছেন। ইলিয়াস শাহ বাংরার রাজধানী গৌড় থেকে পন্ডুয়া নগরীতে সআথানান্তর করেন।
তার রাজত্বকালে বিখ্যাত সুফ সাধক শেখ সিরাজ উদ্দিন ও শেখ বিয়াবানী
বাংলায় এসেছিলেন।
সুলতান সিকান্দার শাহ (১৩৫৭-১৩৯৩)
পান্ডুয়ার আদিনা মসজিদ সিকান্দার শাহের অমর কীর্তি।
সুলতান গিয়াজউদ্দিন আযমা শাহ (১৩৯৩-১৪১১)
এ যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুলতান ছিলেন গিয়াসউদ্দিন-আজম-শাহ।আজম
শাহ বাংলা ভাষার পরম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার সময়ে প্রথম বাঙারি কবি শাহ মুহম্মদ সগীর
তার কাব্য ইউসুফ জোলেখা রচনা করেন। তিনি সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। পারস্যের কবি হাফিজের
সাথে তার পত্রালাপ হত একবার তিনি কবি হাফিজকে বাংরাদেশে আসার দাওয়াত
জানালে প্রতুত্তরে কবি হাফিজ একটি সুন্দর কবিতা লিখে পাঠিয়ে দেন। আজম শাহ চীনের সম্রাট
ইউঙলোর সাথে রাজদূত বিনিময় করেন। তার রাজত্বকালে চীনা পরিব্রাজক মাহুয়ান বাংলায় এসেছিলেন।
হুসেন শাহী শাসন(১৪৯৩-১৫৩৮ সাল)
আলাউদ্দিন
হুসাইন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯)
আংলার স্বাধীন সুলতানদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন আলাউদ্দিন
হুসাইন শাহ্ হুসেন শাহের আমলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। হুসাইন শাহের রাজত্বকালে শ্রীচৈতন্য
বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। তার শাসনামলে বাংলা সাহিত্যের চরম উন্নতি হয় । তার পৃষ্ঠপোষকতায়
কবীন্দ্র পরমেশ্ব ও শ্রীকর নন্দী বাংলা ভাষায় মহাভারত রচনা করেছিলেন।
বিপ্রদাস, বিজয়গুপ্ত, যশোরাজ খান প্রমুখ সাহিত্যিকগণ তা রপৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন।
হুসেন শহী আমলে বাংলা গজল ওসুফী সাহিত্যের সৃষ্টি হয়। হুসাইন
শাহের সময় স্থাপত্য শিল্পেরও খুব উন্নতি হয়। তা র শাসনামলে গৌড়ের
ছোট সোনা মসজিদ ও গুমতিদ্বার নির্মিত হয়।
আলাউদ্দিন
নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ (১৫১৯-১৫৩২)
গৌড়ের বিখ্যাত বড় সোনা সমজিদ (বারদুয়ারি মসজিদ) এবং কদম রসুল
ভবন সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহের অমরকীর্তি।
গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ: বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান ছিলেন গিযাসউদ্দিন
মাহমুদ শাহ। ১৫৩৮ সারে শেরশাহ গৌড় দখল করেন এবং বাংলায় স্বাধীন সুলতানী যুগের পতন হয়।
just like mp3
ReplyDelete